Posts

Showing posts from September, 2019

আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে

Image
কেউ অন্যায়ের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে লেখা দিয়ে অন্যায় কে ঢাকনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।  আমি তো বলেছি আমার বাবাও যদি অন্যায় করে আমি তার বিরুদ্ধে যাবো।  ২৩ তারিখের ঘটনা নিয়ে অনেকেই পক্ষপাতিত্ব করে লিখছে তার মানে অন্যায় কে প্রশ্রয় দিচ্ছো???  আমার রেমা মাহারির একজন ছিলো জড়িত তাতে কি আমি অন্যায় কে প্রশয় দেয়নি দিবোনা তাকে প্রশয় দিলে আরো সে করবে তার জেল হবে কয় মাস?? সর্বোচ্চ ৩মাস এর পর থেকে আবার সে ঐ কাজটি করবে। তো তুমি তাকে আরো উৎসাহিত করলে তার পক্ষপাতিত্ব করে। আমি বলবো  যে অন্যায় করেছে সে যেনো দ্বিতীয় বার এই কাজ করতে না পারে ভাইরাল হলে তার যদি লজ্জা থাকে তো সে করবেনা যদি করেও থাকে তো সে পতিতালয় কে বেছে নিক। অন্য প্রতিষ্ঠানে এই পার্লার বা স্পা সেলুন এখানে অনেকেই জড়িত তাদের পরিবারকে চালাচ্ছে এই কাজ করে। তাদের জন্য অন্য ছেলে/মেয়ে লজ্জিত হোক কেউ চাইবেনা। একটা কথা আছে এক ঝুড়িতে যদি একটি পঁচা আম থাকে তাহলে সেই ঝুড়ির আম গুলো পচতে শুরু করে আবার যদি সেই পঁচা আম একটা ফেলে দিতে পারো বা ফেলে দেয় তাহলে সব আম গুলো পচনের হাত থেকে রেহায় পাবে।  একটা আমের জন্য সব আম পঁচে যাক টা কেউ চাইবেনা। ধন্যবাদ 

মনে পরে তোমাকে

Image
মনে পরে তোমাকে সেদিন টি  ছিলো সকাল বেলা তুমি স্কুলে যাচ্ছিলে আমি ছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়ির উঠোনে আমার বোনের সাথে আলাপ করছিলাম তুমি হুত কোথা থেকে যেনো এলে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তোমার দলবল নিয়ে কাকের মত কাকা আওয়াজ করেন তাই তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম কাক। কারণ তোমার আওয়াজ টা সবার চাইতে বেশি ছিলো।  হাহাহা তুমি চলে গেলে স্কুলে আমি তো আমার জায়গাতেই আছি,  চলছে এভাবেই তুমি যখনই স্কুলে যেতে তোমার যাওয়াটা আমি ঠিকই বুঝতাম কারণ তো আগেই বলেছি তোমার আওয়াজ টা সবার আগে ভেসে আসতো আমার কানে।  আমি মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখা হলে তোমাকে কাক বলে ডাকতাম হাহাহা কিন্তু তুমি টা সিরিয়াস ভাবে নিলে তুমি আমাকে টার্গেট করলে তোমার ভালোবাসার জালে ফাঁসানোর জন্য সাফল্য আসলো তোমার।  আমিও তোমার প্রেমে ফেঁসে গেলাম।  আমিও এমনি এমনি ফেঁসে যায়নি তোমার একটা রোগ ধরতে পেরেছিলাম তোমার রোগ ছিলো বহু ছেলের সাথে ফোনে আলাপ।  আমিও একজনের কাছে নাম্বার নিয়ে কথা বলেছিলাম তোমাকে আমার পরিচয় গোপন করে।  কি জানি কিভাবে তুমি শেষে আমাকে চিনে ফেললে তারপরও কথা বলা শুরু ফোনে এভাবে চলছিলো আমাদের ভালবাসা।  ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎ আসলো দেখা করার পা

অনৈতিক কাজে লিপ্ত গারো মেয়েরা

Image
চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবসা কিন্তু ব্যবসা হতে হবে সৎ, থাকতে হবে সততা। সততা হচ্ছে ব্যবসার মূল পুজি আপনার ব্যবসায় সততা থাকলে আপনি এমনিতেই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন! যারা জেনে বুঝে অসৎ কাজ বা ব্যবসা করে তাদের একদিন ই ধ্বংস হবার চান্স আছে। কথায় আছে চোরের ৯দিন গৃহস্থের একদিন। চোর করবা ৯দিন কিন্তু ধরা তোমাকে খেতেই হবে একদিন। তুমি যে ৯দিন চুরি করেছিলে সেটা একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে এইাই সত্য, কয়েকদিন ধরে খবরের কাগজে একটা খবর ঘুরঘুর করছে স্পা,পার্লারের নামে চলছিলো দেহ ব্যবসা।  গারো নারীরাও ছিলো সেখানে ধরাও পরেছে চোরের নয় দিন গৃহস্থের একদিন।  গারো নারীদের উদ্দেশ্যে আমার কয়েকটা কথা বলার আছে তোমরা পার্লারের বা অসৎ কাজ জেনে বুঝে কেন লিপ্ত হও?? তোমাদের কি টাকার এত প্রয়োজন?? স্বাভাবিক প্রয়োজন থাকতেই পারে কিন্তু তুমি জানোই যে এখানে অসৎ কাজ চলে তোমাকে হয়তো বলে নেওয়া হয়েছে যে এখানে এসব কাজ চলে। তুমি নিজ ইচ্ছামত করে এসেছো টাকার জন্য। এইসব যখন করবে তাহলে পতিতালয়ে যেতে কিন্তু পার্লারের নাম করে এসব করার কি দরকার?? তোমাদের জন্য আরো শত শত গারো মেয়েদের মান হানি হচ্ছে বা পার্লারে চাকরি  করতে দিবেনা তাদের পরিবা

আর কত??

Image
আর কত?? আমার মা বোন,  হচ্ছে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ। নিশ্চুপ প্রশাসন, করেছি আন্দোলন। চেয়েছি বিচার,      খেয়েছি তো মার। অন্ধ আইন,   খুজেছি লাইন। বিচার চাই বিচার চাই আমাদের পাশে কেউ নাই! করেছি হায় হায় কাউকে নাহি পায়? ডেকেছি কতজন কে ভাই ভাই, তারাও পাশে নাই। আমার মা বোন হচ্ছে ধর্ষণ, দেখবো এই দৃশ্য আর কতক্ষণ?? আর কত সয়ে যাবো নির্যাতন? আর কত সইবো অপমান, আর কত দিবো জান? সবাই গেয়ে উঠো মুক্তির গান। বেঁচে যাবে হাজারো লক্ষ প্রান।  

মরিয়ম নগর টু কাতলমারী পায়ে হেটে যাওয়ার গল্প

Image
মরিয়ম নগর টু কাতলমারী পায়ে হেটে যাওয়ার  গল্প আমি তখন মরিয়ম নগর হোষ্টেলে থাকি! আমাদের রান্না বান্নার পালা ছিলো সকালে ভাত, দুপুরে চিড়ামুড়ি, রাতে ভাত দিতো। হোষ্টেল জীবন মানেই খাবারের দিক দিয়ে কষ্ট। সকালে স্টাডি, স্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে আসা একটু বিরতি,তারপর টুকটাক কাজ, আবার স্টাডি পরে খাওয়ার বিরতি পরে ঘুম। বৃহস্পতি বারের রাতে বিনোদন স্বরুপ বিটিভি দেখা হাহাহা। ভালোই চলছিলো আমার হোষ্টেল জীবন। সবার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।  একমাত্র আমিই ছিলাম দূরের গ্রামের ছেলে! আমার বাড়ি ছিলো হালুয়াঘাট থানার কাতলমারী গ্রামের। এক জেলা থেকে আরেক জেলার মানুষ।  তো আমাদের পরিক্ষা চলছিলো দ্বিতীয় সাময়িকী। আমি দুই টা পরিক্ষা দিয়েছি সেই মাসে আমার হোষ্টেল খরচ, হাত খরচ, আর পরিক্ষার ফি আসতে দেরি হয়েছিলো।  আমি কারো কাছ থেকে পরিক্ষার ফি এর জন্য টাকা পাচ্ছিলাম না এক দিকে পরিক্ষা অন্য দিকে টাকার চিন্তা। দিনটা ছিলো বৃহস্পতিবার আমাকে বলা হলো তুমি যাও তোমার পরিক্ষার ফি এর জন্য যেহেতু শুক্রবার ছুটি পরিক্ষাও নেই। আমি বাদ্য না হলে আমার পরিক্ষা দেওয়া হবেনা। আমার বন্ধু দের কাছে টাকা চাইলাম কিন্তু কেউ দিলোনা গাড়ি ভাড়া।  আমার

ওয়া.ল (আগুন) মাই ডাককে গুমা.আ

ওয়া.আল (আগুন/তাপ) গল্পটা আমার আচ্চু (নানার) কাছ থেকে শোনা, আমরা যারা সাংসারেক বা গারো আদিবাসীদের ধর্মে যে প্রধান তাতারা রাবুগা আছে তার পরেই মিশি সালজং!!. মিশিসালজং হচ্ছে সূর্য,তাপ বা বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে শক্তির মূল উৎস হচ্ছে সূর্য।  গারো আদিবাসীরা এই সূর্য দেবতাকে মান্য করেছে, পূজা করে এসেছে!!  এর যুক্তিযুক্ত কারণ  খুঁজে পেয়েছি আমার মতে টা ছিলো বিজ্ঞান সম্যত!  বিজ্ঞান বলছে পৃথিবীর মূল শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য।  সূর্য /তাপ না থাকলে পৃথিবী অচল তার মাঝে গারোরা বাতাস, প্রকৃতি পূজারী সব কিছুর মাঝে আমি যুক্তি খুঁজে পায় যে তারা সূর্য,প্রকৃতির পূজা করে ভুল করেনি।  তারা প্রকৃত অর্থে আসল ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকেই পূজা করেছে, গাছপালা বা প্রকৃতি পুজা করেছে!! প্রকৃতি পানি ও গাছ পালা খাদ্য দেয়, সূর্য তাপ এবং আগুন দেয় যার মাধ্যমে রান্না করে খেতে পারি বা খায়। যা সদা সত্য, এবং এখনো আমরা খেয়েয় বেঁচে আছি। যাক অনেক কথা বললাম এবার নানার গল্পে আসি,,  একদা এক মা ছিলো,  তার গর্ভে সন্তান ছিলো প্রথমে তিনি সূর্য কে জন্ম দিলেন, তার পর একে একে মাটি,গাছপালা,পশুপাখি জন্ম দিলেন।  প্রথমবার সূর্য সবাই কে পুরে ফে

ধর্ষণ বানী

Image
ধর্ষণ বানী             #একান্ত_রেমা আমার কথা শুনার মত কেউ নাই, ওরে এদিক এসে দেখে যা ভাই! শোনাবো আমি ধর্ষণ বানী, করনা কেউ কানাকানি! এদেশে সবাই রাজা, ধর্ষিত রানী। শুনো শুনো আমি বলছি কিচ্ছা কাহিনি, এই দেশের প্রধান রানী, রাজার দাপট তবুও কমেনি। শুনেছো সবাই বইয়েও লেখা, এদেশ ছিল পাকিস্তান এর রেখা। তাদের রেখে যাওয়া বির্য্যের শিশু, আজ তারা নাকি মাস্তান বিশু। এই বাংলায় আর কত ধর্ষণ ?? আর কত নিপীড়ন। আর কত কবিতা কৃতিকা দেবে প্রাণ?? এযেন বাংলা নয় ১৯৭০ এর পুর্ব পাকিস্তান। ধর্ষনে ছেয়ে গেছে দেশ, হত্যা গুম বেড়েই চলেছে বাহ্ বেশ বেশ! ২০২১ এর ভিশন চলছে চলুক হত্যার মিশন।

স্মরনীয় দিন

Image
স্মরণীয় দিন #একান্ত_রেমা আজ দিনটা ছিলো স্মরণীয়, যে আমি কল্পনা প্রিয়! আমি শুধু ভেবেছি এ আমার কল্পনা, সারা জীবন এঁকেছি আল্পনা! আমি অতী নগন্য, তাহাদের সান্নিধ্যে আমি ধন্য। ছিলনা কোন আশা, পেয়েছি তাহাদের ভালবাসা। আমি কৃতজ্ঞ Nigour Mrong, Shawon Ritchil Garo, UnnaYan D Shira, Thokbirim Prokashoni আমাকে উৎসাহিত করেছে তাহাদের ধ্বনি!

আমার হোষ্টেল জীবন

Image
আমার হোষ্টেল জীবন আমি তখন ছোট্ট একান্ত! সবে মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে উঠেছি!  আমি ঢাকার উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পার করেছি।  আমার হোষ্টেলে যাওয়ার অনেক কারন আছে, তার মধ্য বাবা, মা র ইচ্ছে তা ছিলো অন্যতম আমাকে হোষ্টেলে রেখে পড়ানোর।  আমি আমার কারণ গুলো বলি হয়তো এই কারনগুলোর জন্য আমাকলে হোষ্টেলে রাখা, ৪র্থ শ্রেনী থেকে আমি স্কুলে নিয়মিত না, আমি ক্লাশ ফাকি দিয়ে বন্ধু দের সাথে খেলতে চলে যেতাম ফুটবল খেলা ছিলো আমার প্রিয় আমি খেলতাম স্কুলের ব্যাগ গুলো একপাশে রেখে.... আমরা অনেকেই ছিলাম স্কুলের নাম করে ব্যাগ নিয়ে বের হতাম ঠিকই কিন্তু স্কুল পর্যন্ত আর যাওয়া হতোনা!! এভাবেই পার করলাম ৪র্থ শ্রেনী তারপরও ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। যায়হোক ৫ম শ্রেনীতে উঠেও একি দশায় পরলাম তখন ভিডিও গেম খেলতাম উত্তর বাড্ডা বাজারের এক কোণায় ছিলো ভিডিও গেমস এর দোকান। টিফিনের টাকা দিয়ে খেলা শুরু করলাম এভাবে এমন এক নেশায় পড়ে গেলাম ভিডিও গেমস এর টিফিনের টাকা আর হয়না বেশি টাকা লাগে এখন।  মা আর বাবা সন্দেহ করা শুরু করে দিলো আমি কি করি এত টাকা দিয়ে এতো ছোট মানুষ তারপর আবার দিনে ৫০/৬০ টাকা নেয় ব্যপার কি??  স্বাভাবি সন্দেহ হওয়া

আনচিং দে আনচিংনি জাত.না সিমসোকা দংজা, সিমসাকজা চানচিজা, খাসা-খাবাকা দংজা, আনথাংসং আন্থাথাংনা দাকচাকা, আগানচাক্কা দংজা।

Image
আনচিং দে আনচিংনি জাত.না সিমসোকা দংজা, সিমসাকজা চানচিজা, খাসা-খাবাকা দংজা, আনথাংসং আন্থাথাংনা দাকচাকা, আগানচাক্কা  দংজা। আন্থাংনি মাথাংনা রাচাকি আগানস্কা দংজা খাদঙো.দে আনতাংনি জাত.নি দাকবেওয়াল আরো চল রাংখো হাগিলসাক.নি মান্দিরাংচি মেসকনাগি.তা আনতাংতাংনি গ্রুপ পেইজ আরো নিউজপোর্টাল রাংখো শেয়ার খা'না গি.তা মানগেনচিম!! আনচিংনি দাকবেওয়াল আরো চল রাংখো হাগিলসাকো গিসিক রানাগিতা হায় আনচিংবা দাকচাকফা.না.....🙏🙏🙏 মি.থেলা

আমি যেদিন প্রথম সবার সামনে কথা বলি

Image
আমি যেদিন প্রথম সবার সামনে কথা বলি আমার অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরছি,, আমি সবসময় লোক চক্ষু আরালে থেকেছি কোন অনুষ্ঠানে গানের দলে থাকতাম গান গায়তাম কিন্তু নিজেকে সবসময় আড়াল করে রেখেছি!! আমার সর্বপ্রথম স্টেজে ওঠা,   স্কুলের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান হতো আমি তখন গানের দলের সাথে গান গায়তে উঠেছিলাম আমার পা  থরথর করে কাপছিলো, মনে অনেক চিন্তা আসছিলো আমার গানের সুর কি ঠিক হচ্ছে কিনা আমাকে দেখতে কেমন লাগছে এসব আজেবাজে চিন্তা আসছিলো আমার ভিতর থেকে!! যায় হোক স্টেজ প্রোগ্রাম শেষ হলো। দৌড়ে গেলাম স্টেজ থেকে!! আমি বাইবেল পাঠ করে প্রথম বক্তৃতা বা সাহস অর্জন করেছিলাম!  অবধান টা ছিলো ফা.পিতার রেমার।  তিনি আমাদের জোর করে বাইবেল পাঠ করাতেন বা আমাদের পালা করে দিতেন? প্রথম বাইবেল পাঠ অনেক গুলো হোষ্টেলের ছেলে মেয়ে সামনে গ্রামের প্রতিবেশীদের সামনে কেমন যেন উলটে পালটে যেত! তবুও চেষ্টা করতাম বানান গুলো ঠিক রাখার!! প্রথম কবিতা পাঠ মরিয়ম নগরে স্কুলের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে!!  সে ছিলো আমার প্রথম একক কবিতা পাঠ!  বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে আমার নিজের কবিতা,,  আমার ভয়ে বুক ধরফর করছিলো আমার কবিতা কি হচ্ছে কিনা, লেখা কি ঠিক আছে

আমার দেখা জনসন মৃ

Image
আমার দেখা জনসন মৃ আমি আমার মত করে লিখছি, সম্ভবত ২০০৪/২০০৫ সাল তেমন খেয়াল নেই এখন নদ্দা ওভার ব্রীজের কাছে একটা কমিউনিটি সেন্টার ছিলো তখন এই ওভার ব্রীজ ছিলোনা। একটা আদিবাসীদের অনুষ্ঠানে তাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম তাও আবার  তিনি নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে 'চাম্বিল নাচ'!!অনেক অনুষ্ঠানে তিনি চাম্বিল নৃত্য দিয়ে থাকেন।    অনেক লোকের সমাগম হৈচৈ ভরা তখন তেমন কোন আদিবাসীদের অনুষ্ঠানাধি হতোনা। আমি যত টুকু জেনেছি বা দেখে আসছি জনসন মৃ জনসন মৃর জায়গাতেই আছে। তিনি সংস্কৃতি মনা,বিনয়ী, নম্র,ভদ্র  মিশুক  উনার মধ্যে সকল গুনাবলি বিদ্যমান। তিনি ছোট বড় সবার সাথে অতি সহজেই মিশে যান এই হচ্ছে তার বড় গুন। আমার জানা মতে তিনি আদিবাসীদের কোন সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন না। তিনি সব সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন!! গারো আদিবাসীরা যেখানেই সংস্কৃতি অনুষ্ঠান করুক সেখানে এক পলকের জন্য হলেও দেখবেন এই ব্যক্তিকে!!হয়তো চাম্বিল নাচ প্রদর্শন নয় তো সেরেজিং এবং নৃত্য ।  উনার মত যদি সংস্কৃতি পাগল আরো যদি থাকতো তাহলে হয়তো গারো  সমাজে অনেক পরিবর্তন আসতো, সংস্কৃতি কে ধরে রাখা যেত। সংরক্ষণ, সংস্করণ, বি

গারো আদিবাসীদের নিয়ে আমার ভাবনা

Image
গারো আদিবাসীদের নিয়ে আমার ভাবনা! গারো আদিবাসী হচ্ছে মঙ্গলীয় জাতির,তাদের নাক চেপ্টা, গায়ের রং বাদামি, উচ্চতা মাঝারি, গারো আদিবাসীদের নিজস্ব ধর্ম আছে, ভাষা আছে,সংস্কৃতি আছে,সমাজ আছে। ধর্ম একেবারে বিলীন, যা আছে তাও নেই বললেই বললেই চলে!  এই ধর্মকে কেন্দ্র করে অনেকেই আজ উন্নতির পথে। যারা আজ ধর্ম নিয়ে কাজ করে তারা পৃথিবীর বুকে ধনী রাষ্ট্র!  যারা ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে তারা আজ সুখে ঘুমায় খায়, তাদের দুঃখ নেই বললেই চলে। তাদের কথায় সারা পৃথিবী চলে বা মান্য করে !!  অমান্য করলে শাস্তির বিধান আছে! তাদের এক কথাও জনগণ নড়চড় করেনা! তারা পৃথিবির বুকে বুক ফুলিয়ে চলে! আর আমরা গারো আদিবাসীরা কিনা সেই ধর্মকেই বিলীন করে ফেলেছে!!  আমার মতে, যদি আজও অবধি সাংসারেক ধর্ম বেচে থাকতো তাহলে গারো সমাজ, সংস্কৃতি, ভাষা সব কিছুই ঠিক থাকতো এবং আরো বিস্তৃত লাভ করতো। যদি পৃথিবীতে তাকিয়ে দেখেন তবে ধর্ম কে দেখবেন আর তার প্রাচুর্য কে দেখবেন!! ধর্মকে পুঁজি করে আজ অনেক রাষ্ট্র ধনী..... ধর্ম কে সংগে করে নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আজ তারা ক্ষমতাশালী।।  আমাদের গারো আদিবাসীদেরও উচিৎ ছিলো  সাংসারেক ধর্মকে ধরে রাখা!! কিন্তু আম

আংনি আচ্চু

আমার নানা ( আংনি আচ্চু) আমার বেড়ে উঠার পিছনে আমার আচ্চুর  অবধান অনেক ক্ষেত্রে। আমার মা বাবা সব কিছুই তিনি ছিলেন আছেন থাকবেন। আমার প্রাণ বায়ু আমার নানা। ছোট কাল থেকে আমি আচ্চু কে নানা বলেই ডাকি। এখন নানা ডাক টা তার ডাকনাম হয়েগেছে! আমার প্রাণ বায়ু এর কারনেই যে সে আমার সাথে সর্বদা ছায়ার মত থাকে। আমার আপদে বিপদে সব কিছুতেই। ছোট্ট একটা ঘটনা যা শেয়ার করলেই নয় আমি ছোট বেলায় রোগাক্রান্ত ছিলাম বিভিন্ন রকম অসুখ বিসুখ লেগেই থাকতো আমার তখন আমি বুঝতে শিখেছি ভাল মন্দ,,  আমার অনেক জ্বর হয়েছিলো আমি মৃতপ্রায় অবস্থা আমার অনেক কবিরাজ ওঝা দেখানোর পরও আমি ভালো হচ্ছিনা তো আমার নানা আমাকে পিঠে করে নিয়ে গেলো বাজারের ফার্মেসীতে গেলাম তখন এত প্রযুক্তি ছিলো না।  ফার্মেসীর ডাক্তার দেখলো রক্ত পরীক্ষা করালো।  ১সপ্তাহ পর রিপোর্ট এলো মেলেরিয়া না কি হলো বলতে পারিনা। ঔষধ দিলো, খেলাম ভালো হলো কিন্তু আমার যে কয়দিন জ্বর ছিলো সেই কয়দিন আমার নানার খাওয়া নেই ঘুম নেই।  তিনি আমাকে তার সেবা দিয়ে শ্রম দিয়ে ঘুম হারাম করে খাওয়া দাওয়া ত্যাগ করে সুস্থ করে তুললেন। আমি আমার নানা কোনদিন ভুলবোনা। কারণ এখনো কিছু হলে আমার নানার চিন

একতাবদ্ধতা

Image
একতাবদ্ধ #একান্ত_রেমা আমরা ভুলে যাচ্ছি আমাদের ভাষা, অন্য সংস্কৃতি এখন আমাদের ভরসা। ছোটদের আর শিখাচ্ছিনা, তারাও এখন বলে কিছু পারিনা। এই পৃথিবী তে গারো জাতি আর থাকবেনা, গারো এক জাতি ছিলো কেউ জানবেনা। আমি লজ্জিত আমি লজ্জিত, আমি আজ অন্য সংস্কৃতি তে সজ্জিত। আমি গারে আমি গারো, সবাই বলতে পারো। আমি বলি গারো হয়না কারো, থাকেনা মিল, একজন আরেকজনক মারে শুধু কিল। যদি থাকে একতা, বড় হবে গারো জনতা। কারো জন্য রেখে যাচ্ছিনা গচ্ছিত তবেই হবে আমাদের সংস্কৃতি সঞ্চিত।

পরিচয়

Image
এই তোমার পরিচয় কি?? আমি গারো। গারো ভাষা বলতে পারো?? না হাহাহাহা পারিনা, তাহলে কেমন গারো?? জানিনা হাহাহাহা তোমার ছেলের নাম কি?? কুদদুস, হায়রে আফসো!! তোমার ধর্ম কি?? খ্রিস্টান। জাত গেলো ধর্ম গেলো শেষে গেলো মান! তুমি তো ছিলে সাংসারেক?? তবে কেন তোমার পায়ে লাগালে পেরেক! তোমার নাম, তোমার ধর্ম, তোমার ভাষা কোন টাই নেই, তুমি যে গারো তাহলে কেমনে পরিচয় দেয়?? তোমার করেনা লজ্জা, ফেল ফেল কর হাসো আবার নিচ্ছো মজা! অন্য ভাষা অন্য সংস্কৃতি করছো লালন, অন্য দের সব কিছু করছো আবার পালন!! নিজ নিজ নামে কর নামকরণ, নিজ জাতিসত্তা কে করে নাও বরণ! ভাষা হোক মুখে মুখে, শপথ করি ভাষা  সংস্কৃতি  রাখবো বুকে

আমার লেখা নিয়ে কিছু কথা

Image
‌★ আমার লেখা নিয়ে কিছু কথা★ আমার লেখা নিয়ে কিছু কথা আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ি তখন অনেকের  লেখা পড়তাম তখন নিজে থেকে চিন্তা করতাম কিভাবে লেখে আমিও কি লিখবো?? আমার লেখা কি পড়বে মানুষ?? আমি শখের বশে কবিতা লিখেছিলাম এবং স্কুলের দেওয়ালিকা তে দিয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা কপি করে লেখা দিয়েছে তাদের কবিতা গুলো প্রথম সারিতে আসছে!! আমি অনেক খোজাখুজির পর আমার লেখা আবিস্কার করলাম ছোট একটা কাক চিত্রাঙ্কন এর ভিতর লেখাটি পরে আছে অবহেলায় অযত্নে!! ‌আমি সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম কারণ আমি ঐ কবিতাটি তে অধিকার আদায়ের পাশাপাশি গরীবদের কথা তুলে ধরেছিলাম কিন্তু সেই আদায় আর গরীবের কথা গুলো সেই দেওয়ালিকা তে স্থান পেলো কিনা কাকের চিত্র তে?? আমি হতাশ হয়েগিয়েছিলাম।। তারপর কয়েকদিন লেখা বাদ দিলাম রাগে দুঃখে আর হতাশায়!  আমি ভেবে নিলাম যে আমার লেখা প্রাধান্য পায়না লিখে কি হবে?? আর লিখবো না স্কুলের দেওয়ালিকা তেই স্থান পেলাম না আর মানুষ জন তো পড়বেই না!! তার পর কি যেন মনে করে লিখা শুরু করলাম আমাকে একজন সিস্টার উৎসাহ দিলো আমাকে লিখতে বললো।  লিখলাম এবং "সাপ্তাহি প্রতিবেশী" নামক মেগাজিনে লেখা পাঠালাম