আমার লেখা নিয়ে কিছু কথা


‌★আমার লেখা নিয়ে কিছু কথা★
আমার লেখা নিয়ে কিছু কথা
আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ি তখন অনেকের  লেখা পড়তাম তখন নিজে থেকে চিন্তা করতাম কিভাবে লেখে আমিও কি লিখবো??
আমার লেখা কি পড়বে মানুষ??
আমি শখের বশে কবিতা লিখেছিলাম এবং স্কুলের দেওয়ালিকা তে দিয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা কপি করে লেখা দিয়েছে তাদের কবিতা গুলো প্রথম সারিতে আসছে!!
আমি অনেক খোজাখুজির পর আমার লেখা আবিস্কার করলাম ছোট একটা কাক চিত্রাঙ্কন এর ভিতর লেখাটি পরে আছে অবহেলায় অযত্নে!!
‌আমি সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম কারণ আমি ঐ কবিতাটি তে অধিকার আদায়ের পাশাপাশি গরীবদের কথা তুলে ধরেছিলাম কিন্তু সেই আদায় আর গরীবের কথা গুলো সেই দেওয়ালিকা তে স্থান পেলো কিনা কাকের চিত্র তে??
আমি হতাশ হয়েগিয়েছিলাম।।
তারপর কয়েকদিন লেখা বাদ দিলাম রাগে দুঃখে আর হতাশায়!  আমি ভেবে নিলাম যে আমার লেখা প্রাধান্য পায়না লিখে কি হবে?? আর লিখবো না স্কুলের দেওয়ালিকা তেই স্থান পেলাম না আর মানুষ জন তো পড়বেই না!!
তার পর কি যেন মনে করে লিখা শুরু করলাম আমাকে একজন সিস্টার উৎসাহ দিলো আমাকে লিখতে বললো।  লিখলাম এবং "সাপ্তাহি প্রতিবেশী" নামক মেগাজিনে লেখা পাঠালাম কিন্তু অনেক অপেক্ষার পরও আসলোনা আমার লেখা কিন্তু আমার লেখা হুবহু আসলো অন্যজনের নামে আমি তো অবাক!!  কিন্তু কিছু করার ছিলোনা তাদের দাপটের কারনে প্রতিবাদও করা গেলো না তখন আমি ছোট প্রতিবাদও  কিভাবেই করবো আমার প্রতিবাদের কোন মূল্য থাকবেনা।।
‌তখন লেখালেখি থেকে মন গেলো একবারে ভেঙ্গে ! পরে আর লিখলাম না। ওও আমার লেখা গুলো আর আমার সংগ্রহে নেই। সেই যে বার বার ধোঁকা খাওয়ার পর ছিড়ে ফেলেছিলাম।
হোষ্টেল থেকে আসার পর আবার টুকটাক লিখা শুরু করলাম।
তার পর গেলাম লেখা ছাপা খানায় ছাপাখানার লোকদের বললাম ভাই আমার ৪০/৫০ টা লেখা আছে আমি এই লেখা গুলো বই আকারে ছাপাতে চাই তারা বললো ২০পৃষ্ঠা লেখা বই নিতে হবে ১০০/১৫০পিস দাম পড়বে ৪৫হাজার টাকা!
তখন আমার হাতে এতো ছিলোনা আমি ভেবেছিলাম কম নিবে তারপরও আমি নিয়ে গিয়েছিলাম ৩৫শত টাকা।
হলোনা আর আমার বই ছাপা ফিরে এলাম ভারাক্রান্ত হৃদয়ে।
সেদিন থেকে লেখাও বাদ দিলাম লেখালেখি ।।
‌আবার হোষ্টেলে চলে গেলাম ২০১২ সালে মরিয়মনগর।  সেখানে একটা ম্যাগাজিনে লেখা চাইলো ফাদার অভিষেক ফাদার বাইওলেন চাম্বুগং এর সেখানে লিখলাম!
প্রথম সারিতে ছিলো আমার লেখাটি আমি আমার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারিনি!!!
আবার লেখালেখি তে অনুপ্রেরণা পেলাম।
লেখালেখি করতাম পরে আবার ছেড়ে দিয়েছি পরিবারের গন্ডগোল এর কারনে।
আমাকে আবার সাহস দিলো লেখালেখি তে আমার প্রানপ্রিয় ভাই, বন্ধু শ্রদ্ধার নিগুঢ় ম্রং।  আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ তার জন্যই আজ আবার কলম ধরা তার সাহস ,উৎসাহ দেওয়াতে আমি আবার লিখছি। আরও কৃতজ্ঞতা থকবিরিম প্রকাশনী কে মিঠুন দা কে আমার লেখা গুলো থকবিরিম প্রকাশনীতে প্রকাশ করে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেওয়াতে!!
সবার দীর্ঘায়ু কামনা করি।।

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)