মনে পরে তোমাকে

মনে পরে তোমাকে
সেদিন টি  ছিলো সকাল বেলা তুমি স্কুলে যাচ্ছিলে আমি ছিলাম এক আত্মীয়ের বাড়ির উঠোনে আমার বোনের সাথে আলাপ করছিলাম তুমি হুত কোথা থেকে যেনো এলে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তোমার দলবল নিয়ে কাকের মত কাকা আওয়াজ করেন তাই তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম কাক।
কারণ তোমার আওয়াজ টা সবার চাইতে বেশি ছিলো।  হাহাহা
তুমি চলে গেলে স্কুলে আমি তো আমার জায়গাতেই আছি,  চলছে এভাবেই তুমি যখনই স্কুলে যেতে তোমার যাওয়াটা আমি ঠিকই বুঝতাম কারণ তো আগেই বলেছি তোমার আওয়াজ টা সবার আগে ভেসে আসতো আমার কানে।  আমি মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখা হলে তোমাকে কাক বলে ডাকতাম হাহাহা
কিন্তু তুমি টা সিরিয়াস ভাবে নিলে তুমি আমাকে টার্গেট করলে তোমার ভালোবাসার জালে ফাঁসানোর জন্য সাফল্য আসলো তোমার।  আমিও তোমার প্রেমে ফেঁসে গেলাম।  আমিও এমনি এমনি ফেঁসে যায়নি তোমার একটা রোগ ধরতে পেরেছিলাম তোমার রোগ ছিলো বহু ছেলের সাথে ফোনে আলাপ।  আমিও একজনের কাছে নাম্বার নিয়ে কথা বলেছিলাম তোমাকে আমার পরিচয় গোপন করে।  কি জানি কিভাবে তুমি শেষে আমাকে চিনে ফেললে তারপরও কথা বলা শুরু ফোনে এভাবে চলছিলো আমাদের ভালবাসা।  ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎ আসলো দেখা করার পালা আমার মনে নেই কেই বা প্রথম প্রস্তাব করেছিলো দেখা করার বিষয়টা যায় হোক আমি গেলাম তোমার সাথে দেখা করতে রাতের অন্ধকারে।  আমি অপেক্ষা করছিলাম তুমি কখন আসবে?? হঠাৎ তোমাকে আসতে দেখলাম নিভু নিভু মোবাইলের আলোয় তুমি ধীর গতিতে ভয়ে ভয়ে আসছো। প্রথম দেখা তারপর আবার এতো রাতে রাত তখন ১১টা সম্ভবত।  এই রাতে গ্রামের লোকজন ঘুমিয়ে কাত হয়ে যায়। গ্রাম থাকে লোকশূন্য। যাক গল্প করলাম ২/৩ঘন্টার মত।
এভাবেই এগুচ্ছিলো  আমাদের প্রেম ভালোবাসা।  একদিন দেখা করার দিন তো প্রায় ধরা খেয়েছিলাম তোমার বড় ভাইদের কাছে হাহাহা। ধরা পড়েনি ভাগ্য ভালো। এর মাঝে কত ব্রেকআপ হয়েছে আবার জোরা লেগেছে। তার হিসাব নেই।
তখনও বুঝতাম না তোমার যে এই প্রেম ভালোবাসা ছিলো নাটক, এক প্রকার অভিনয়, প্রতিশোধ।
তোমাকে কাক ডাকার এতো বড় প্রতিদান দিবে তুমি আমাকে ভালবাসার অভিনয় করে তাও আমার কল্পনার বাইরে ছিলো।  যাক তুমি শান্তি পেয়েছো খুশি হয়েছো, সুখি হয়েছো তাতেই আমিও খুশি।  তুমি এই প্রতিশোধ টা কয়েকদিন বা কয়েক মাস পরে নিলেও পারতে কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম করার পর নেওয়াটা মেনে নেওয়ার মত না এই পাঁচ বছরে তোমাকে আমি আমার জান, প্রাণ, মন, সব কিছু দিয়ে ফেলেছিলাম।  তুমি ধর্ম গ্রন্থ ধরেও প্রতিজ্ঞা করেছিলে যে আমাকে ছেড়ে যাবেনা কখনো কিন্তু সেই তুমি আজ আমাকে অস্বীকার করছো। ভালো তুমি সুখি থাকো এই কামনা করি।
কিন্তু তোমার একটা দিক আমার কাছে ভালো লাগেনি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছো ভালো কথা কিন্তু যে ছেলের হাত ধরেছো সে ছিলো বিজাতি আমাকে দেখিয়েছো তুমি তোমার জিৎ থেকে এটাও আমি জানি। তুমি আমাদের স্বজাতিকে বেছে নিলে আমি আরও খুশি হতাম কিন্তু তোমাকে আমি সব থেকে ঘৃনা করি বা করছি।  তুমি তো জানোনা এই তোমার জন্য আমি দীর্ঘ ২বছর অপেক্ষা করেছি। তোমাকে পাওয়ার জন্য কত কিছু করেছি। তোমাকে পাবোনা জেনে আমি অনেক ধরনের নেশা করেছি মৃত্যর জন্য কত চেষ্টা করেছি কিন্তু আমাকে সৃষ্টিকর্তা নেয়নি তোমার এই নোংরামো দেখার জন্য হয়তো। তোমাকে ভালবেসেছিলাম এই সব দেখার জন্য না আমি তোমাকে এখন এমন ঘৃনা করি পৃথিবীতে সব চেয়ে যাকে মানুষ ঘৃনা করে আমি তার চেয়েও তোমাকে অনেক অনেক ঘৃনা করি। যাক তুমি সুখি আছো তাতেই ভালো।  আমিও সুখে আছি আমার প্রিয়াকে নিয়ে। তোমার থেকে হয়তো ভালবাসতে পারিনি কিন্তু তোমার থেকেও তাকে আমি ভালবাসবো।
আমরা হয়তো এতো তোমার মত চাকচিক্য থাকবোনা তোমার মত বিল্ডিংয়ে থাকতে পারবোনা,তোমার মত সম্পদশালী না তারপরও আমাদের যা আছে তাতেই আমি সুখি আমার প্রিয়া আমার সাথে থাকে আমি যদি বলি আমরা আজ রাস্তায় ঘুবাবো সে তাই করে, আমরা তিন বেলা না খেয়েও থেকেছি, মাটিতেও ঘুমিয়েছি, তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাও সে আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু বলেনা।  সে আমাকে পেয়েই সুখি আমি যতটুকু জেনেছি।  আমরা এখন অনেক সুখি অনেক অনেক। তোমাকে হয়তো এত সুখি রাখতে পারতাম না এর জন্য তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছো ভালোই করেছো।  আমার কিছুই ছিলোনা তোমাকে সুখি করার মত।
তুমি সুখে থাকো এই কামনা করি।

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)