Posts

Showing posts from October, 2019

প্রিয় বন্ধু

Image
প্রিয় বন্ধু নাম তার জহিরুল ইসলাম তাকে আমি ছোট কাল থেকে চিনি সাদাসিধে ছেলে আমার খুব প্রিয় হয়তো তার কাছেও আমি প্রিয়। আমার সব সময় কাছে থাকে সে।  আমি যদি কোন বিপদে পরি সে যদি জানে আমার বিপদের কথা সবার আগে সে দৌড়ে আসে।  জহুরুল ছেলেটা হয়তো অভাবের কারণে স্বভাব নষ্ট হয়েগিয়েছিলো তারপরও আমার তাকে ভালো লাগে।  সে অনেক দুঃখে দিন কাটিয়েছে তার মা বাবা থাকা সত্তেও না থাকার মত জহুরুল তার নানির কাছে বড় হয়েছে।  তার নানি তাকে একবেলা খাওয়ালে হয়তো দুবেলা খাওয়াতো না। আমার চোখে দেখা তাকে শিকল দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে পাগল বলে তাকে এমন শাস্তি পেতে হয়েছে আসলেও কিন্তু সে পাগল না।  সবার সাথে চলাফেরা করে।  ঐযে বললাম অভাবে স্বভাব নষ্ট।  এক বেলা খেতে দিলে দুবেলা খেতে দেয়না হয়তো এর জন্য মাঝে মাঝে ছোট খাটো চুরি করে নারিকেল,আম, এগুলো চুরি করে খেয়েছে এর জন্য এত বড় শিকল দিয়ে আটকিয়ে রাখা এটা মানবিক থেকে আমি মনে করি তাদের কাজ ঠিক হয়নি। পায়ে শিকল থাকা সত্বেও আমার কথা শুনলে সে আমার সাথে দেখা করে যেতো।  আমার কথা শুনলে সে বাংলাদেশের যেই প্রান্তে থাকুক আমার কাছে ছুটে আসে আমাকে এক পলক দেখার জন্য এসব পাগলামি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। 

আমার দেখা সেইকাল আর বর্তমান কাল)

Image
(আমার দেখা সেইকাল আর বর্তমান কাল) আমি ছোট্ট একান্ত। প্রাইমারি তে পড়ি। আমাদের স্কুলের নাম কাতলমারী সাধু পিতর প্রায়মারি স্কুল। আমার নানা আমাকে স্কুলে নিয়ে যায় ছুটির সময় আবার নিয়ে আসে। নানার সাথে কাটিয়েছি আমার শৈশবের দিনগুলো। তিনি আমার একাধারে বন্ধু, বান্ধবী, পিতামাতা,ভাই বোন, নানা,দাদা,তিনিই সব। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন খালেবিলে প্রচুর মাছ, জিনিস পত্তের দাম ছিলো হাতের নাগালে, কিন্তু টাকার মান ছিলো অনেক।  একটা টাকা দিয়ে ৪টা আনার কলি নামে লজেন্স পাওয়া যেত যদি ৫টাকাও নিজের হাতে থাকে তবে নিজেকে কোটি টাকার মালিক মনে করতাম। ৫টাকায় অনেক কিছু পাওয়া যেত ২টাকার চানাচুর ৩জনে খেয়ে শেষ করতে পারতাম না। বুত যদি কিনে খায় তো দাঁতের মারি বেথা লাগতো। বাজারে হরেক রকমের খেলনা পাওয়া যেত।  এখন সেই ৫টাকা দিয়ে ভালো মানের লজেন্স পাওয়া যায়ইনা, খেলনা তো দূরের কথা। বাজারে গেলে লোকের সমাগমে হারিয়ে যেতাম একবার আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম কত কষ্ট করে খুঁজে পেয়েছিলাম আমার নানা কে। আমি বুদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে ছিলাম বলে আমাকে খুঁজে পেয়ছিলো।  আর এখন সেই বাজারগুলোতে লোক তো দূরে থাক একটা মাছিও খুঁজে পাওয়া যায়না।  ছোটকালে আম

তানিয়া

Image
আমিও সেদিন জড়িয়েছিলাম চোখের জল, সেদিন তুমি কোথায় ছিলে আমায় একটু বল, মনে প্রাণে চেয়েছিলাম আমিও, সে দিন না বলে চলেগিয়েছিলে তুমিও। জানিনা সেটা ভালবাসা ছিলো নাকি ভাল লাগা, তবে এটা ঠিক তোমার জন্য হতো আমার রাত জাগা, তোমাকে খুঁজেছি আপন মনে, কপালে ছিলনা বলে পায়নি তোমায় এই শুভ ক্ষণে, ভালো আছি ভালো থেকো রইলো শুভ কামনা, আমার থেকে আরো ভালো পাও যেন করি বাসনা,

এই ভালোবার কি নাম দিবো?

Image
(এই ভালোবাসার কি নাম দিবো) মানুষের জীবনে ভালবাসা নামক ঋতু আসে আসে একবার আর প্রেম নামক ঋতু বার বার আসে! ভাল লাগা এই ঋতু প্রত্যেকদিন আসে।  যাকে দেখবে চোখ তাকেই ভাল লাগবে এটাই স্বাভাবিক মানুষ মাত্রই সুন্দরের পূজারী। আমার জীবনে প্রেম নামক ঋতু এসেছিলো বার বার কিন্তু ভালবাসা এসেছে একবার। প্রথম ভালবাসা হারিয়ে যায় এটাই সত্য এটা এক প্রকার নীতিতে চলে গেছে পৃথিবীর নিয়ম বলা চলে।  আমি যাকে ভালোবাসতাম  তাকে আমিও পায়নি। আবার আমাকে যে ভালবাসতো সেও আমাকে পায়নি। শুরুর দিকের ঘটনা আমি যাকে ভালোবাসতাম সে চলে গিয়েছিলো আমাকে ছেড়ে আমি তখন পাগল প্রায় তাকে ফিরে পাবার আশায়। তাকে না পাওয়ার বেদনায় আমি পাগল প্রায়।  এভাবেই যাচ্ছিলো  দিন কে জানতো আমাকেও পাগলের মত ভালোবাসে কেউ একজন তার সাথে কথা হতো, এসএমএস হতো কিন্তু সে আমাকে বলেনি যে আমাকে সে ভালোবাসে হয়তো সাহস হয়নি বলার।  তার মুখ থেকে শুনাও হয়নি সে আমাকে ভালোবাসে। সেও হঠাৎ হারিয়ে গেছে।  আমি তার সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি, তার কথা বলা দেখে মনে হয়েছিলো সে আমাকে ভালবাসে বা আমাকে তার ভালো লাগে।সেই জন্য তার সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা কিন্তু সব

চলো ঘুরে আসি

Image
আজ কোথাও ঘোরে আসি চলো চলো কোথায় যাবে? চলো পাহাড়ের দেশে মেঘ ছুবো দুজনে মেঘের ভেলায় ভেসে, সোনালি হাসি হেসে। যাবো হাড়িয়ে তোমার আবেসে আমিও যাবো তোমারি সাথে এসো দেখে যাও মেঘেরা খেলছে মেঘের পাশে তোমার সাথে.... সত্যি তুমি কি হবে মোর চলার সাথি? সাথি হওয়ার আছে কি কিছু বাকি! আছে বয়ে কি তুমি একটু এসে দিয়ে যাও উকি? উকি দিতে পারিনা, সে কথা বলো না। কেনো পারোনা,  জানতে চেয়েও আর উত্তর মেলেনা? অসময়ে এসেছো সময়ে দেখা দিলেনা, তুমিই তো এলে অসময়ে,,  এখনো সময় আছে  যদিও ব্রেকআপ চলছে আবেগে আমি হাটিনা, বিবেগে হাড়ায় বিবেগ যদি জিতে তাহলেই দুহাত বাড়াই হয়ে যাক আবেগ বিবেগ খেলা, ভাসাবো ভালোবাসার ভেলা। যদি ডোবে যায় পানিতে। কেউ থাকবেনা আমায় টানিতে। তখন আমাকে হয়বে মরিতে মরি তে দেবো না রেখো সেই বিশ্বাস তুমি চলে গেলেও আমি যাবোনা এই মোর আশ্বাস।। আশ্বাসের বিশ্বাস নাই,সে কি তুমি জানো না? বিধাতার লিখাকে কেনো তুমি মান না। স্বাভাবিক ভাবে মেয়েরাই আগে চলে যায়, নতুন কিছু পেলে নতুনের আশায়। এ আমার চোখে দেখা, হয়েছে মোর অবিজ্ঞতা। আর কত প্রমান দিলে হবে তুমি খুশি? এর আগেও একজনের জন্য দিয়েছিলাম গলায়

ধন্যবাদ জ্ঞাপন

Image
বাঙালী যেমন জিনিস পাওয়ার পর ধন্যবাদ দিতে ভুলে যায় ঠিক তেমনি গারো আদিবাসীরাও।  আমি অনেক জায়গাতে গিয়েছি অনেক মানুষের সাথে মিশেছি আমার অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানে যোগদান করার সুভাগ্য হয়েছে সব অনুষ্ঠান গুলোতে লক্ষ্য করেছি বক্তা অনেক কিছু দাবি করে, ধন্যবাদ জানাই কিন্তু গারো ভাইবোনেরা প্রতিত্তোরে একটা হাত তালি দিয়ে ধন্যবাদ তো দূরের কথা উৎসাহ দিতেও ভুলে যায়। প্রত্যেকটা ওয়ানগালাতে বা বড় বড় অনুষ্ঠানে গারো রা এই একটা ভুল করে।  হাতের তালি এমন একটা জিনিস যা গারো আদিবাসীরা বুঝে না।  একটা হাতের তালিতে একটা মানুষের যে উৎসাহিত হয় বা উৎসাহিত করে তা আসলেও বুঝেনা গারো রা। একটা হাতের তালিতে উৎসাহিত হয়ে অনেক মানুষ আবদার, চাওয়া পাওয়া গুলো দিতে প্রস্তুত হয়। বা সে খুশিতে অনেক কিছু দেওয়ার চেষ্টা করে বা উৎসাহিত হয়ে  অনেক কথা মুখ থেকে ইচ্ছা না থাকা সত্বেও বেরিয়ে আসে।  গারো আদিবাসীরা অনেক অবহেলিত যখন বড় বড় বক্তা সরকারি দল বা ব্যক্তির কাছে আবদার করে তখন একটা হাত দিলে কিন্তু উৎসাহিত হয়ে সরকারি দল বা ব্যক্তি দিতে প্রস্তুত বা না দিলে সে লজ্জায় পরে যাবে এগুলো কি হাতে হাতে ধরে শিখাতে হবে।  আমি শুধু আমার মনের কথা বলছি কাউকে জ

গারো বুদায়

Image
গারো বুদাই মাঝে মাঝে রাগ হলে আমি এই কথাটি ব্যবহার করি তার কারণও আছে,  ছোট কালে শুনেছি আমার আচ্চুর কাছে বা অনেকেরই কথা বা গল্প বা বাস্তবে ছিলো হয়তো শুনেছেন বা শুনে থাকবেন যে এক গারো পরিবার ছিলো তাদের ধন সম্পদের অভাব ছিলোনা তাদের এক বাঙালি মহাজনের সাথে পরিচয় হয় পরে বন্ধুত্ব। তো একদিন গারো পরিবারের কর্তা বাজারে গেলো বর্ষাকাল তখন ঐ বাঙালি বন্ধু টি তাকে একটা ছাতা দিয়েছিলো পরে ছাতার বদলে ২০কাঠা জমি লিখে দিয়েছিলো। এই হচ্ছে আদিম কালের গারো বুদায় ছাতার বদলে ২০কাঠা জমি দিয়ে দেওয়া।  আরও এমন অনেক বুদায়গীরি গল্প আছে ১পোয়া শুটকির জন্য ২০মন ধান দিয়ে দেওয়া, তামুকের জন্য জমি লিখে দেওয়া।  আর এখন এই যুগের বুদায় গারো রা সেইকালের থেকেও বুদায় তারা হয়তো পড়ালেখা করেনি তাই তাদের এই হাল ছিলো কিন্তু এই যুগের বুদায় রা তো লেখা পড়া জেনেও বা শিক্ষিত হয়েও বুদায় গীরি করে।  আমার নিজেকেই রাগ হয় নিজেকেই বলতে ইচ্ছে করে যে আমি নিজেই বুদায়।  গারোদের মাঝে একতা নেই, প্রতিবাদী নেই, গঠন মূলক কাজে কোন উৎসাহ নেই, ব্যবসায়িক কাজে মন নেই,  সংগঠন কি তারা বুঝেনা, সমবায় কি বুঝেনা, সামাজিকতা কি বুঝেনা। একতা,প্রতিবাদ, গঠন,সংগঠন, ব্যবসা,

আমাকে নিয়ে তানিয়া ডিব্রা এর কবিতা

Image
হে একান্ত রেমা কবি গুরু তুমি, তোমাকে জানায় প্রনাম। শ্রদ্বায় ভরা চুর্ণ হৃদয় নিয়ে তোমার কাছে এলাম। দিবে কি ঠাই তুমি পদ তলে তুমার, তুমারি তরে দুষ্ট হৃদয় ব্যাকুল হলো আমার।উদ্যানে উদ্যানে ছুটিয়া বেড়ায় কেবলি তুমিই বাসনা। আনচান করে হাহাকার করে সে কি তুমি বুঝনা?উদাসি হয়ে আনমনা হয়ে ব্যাস্ত এই হৃদয় জোরে, বেশী কিছু প্রয়োজন নহে শধু চরণ ধুলি টুকু দাও মোরে।।।।

দেশ মাত্রী

দেশ মাত্রী.,,,    তানিয়া ডিব্রা কি নামে ডাকবো তোমায় দেশমাত্রী তুমি।জন্মের পরে তোমারি কুলে ঠাই পেয়েছি আমি।এ যেন স্নেহে গড়া আদরে ভরা করেছিলে যত্ন।তোমাকে মা না বলে বলিবো আমি রত্ন।দেশমাত্রী তুমি অপার ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়েছো।হাটি হাটি পা পা হাটতেও শিখিয়েছ।তোমার পরাগে তোমার সোহাগে হই যে মোরা ধন্য।তোমার সন্তান বলিয়া মোদের করো গন্য।আমরা তো অবুজ,সবুজ শস্যকে করি অবহেলা।দেখেও দেখিনা জোনাকি আর পাখিদের খেলা মেলা।ভুলিয়া যায় হায় কবি নজরুলের বিদ্রোহী গান।পদে পদে ক্ষনে ক্ষনে তোমাকেও করি অসম্মান।জানি আমি অপরাদ মোর ক্ষমার যোগ্য নহে।হৃদয়ে অনুতাপের যন্তনা বায়ুরুপে বহে।কি বলে ক্ষমা চাই ভাষা নেঈ জানা।আপন সন্তান বলে করিও আমায় ক্ষমা

ওয়ানগালা নিয়ে আমার চিন্তাধারা

Image
 (ওয়ানগালা নিয়ে আমার চিন্তাধারা) আদিবাসী মানেই প্রকৃতির পূজারী। আদিকাল থেকে প্রকৃতির সাথে মিলে মিশে বাস করে আসছে। বড় বড় পাহাড় পর্বত, ঝর্ণা, পাহাড়ি নদী,এগুলো দেখলেই মনে হবে এখানে আদিবাসীদের বাস এখানে আদিবাসী থাকে থাকবেই। প্রকৃতি মানেই আদিবাসী। এখানে বসবাস করবেনাইবা কেন?? যেখানে প্রকৃতি ঈশ্বর বিদ্যমান, প্রকৃতির অক্সিজেন,  প্রকৃতির জল,প্রকৃতির ফল,প্রকৃতিই আমিষ  প্রধান করে থাকে। যেখানে একটা মানুষ বেঁচে থাকার সকল প্রকার উপাদান বিদ্যমান বা প্রকৃতি ঈশ্বর আছেন সেখানে আদিবাসী বসবাস করাই স্বাভাবিক। প্রকৃতিকে পুজা করাই স্বাভাবিক, প্রকৃতি যেখানে আমাকে বেঁচে থাকার জন্য সব কিছু প্রদান করছে আমি তাকে ঈশ্বর মানবোই এটাই সত্যি,  আমি যদি বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকায় তবে দেখবো যে ব্যক্তি খেতে দেয় সেই ঈশ্বর ক্ষুধার্ত ব্যক্তির কাছে। প্রকৃতি আমাকে খেতে দেয়,বেঁচে থাকার অক্সিজেন দেয়,আলো দেয়,বাতাস দেয়,জল দেয়। সেখানে আমি প্রকৃতিকে ঈশ্বর না মেনে অদৃশ্য ঈশ্বরকে কিভাবে ঈশ্বর মানবো??? আমি গারো আমি আদিবাসী আমার ধর্ম সাংসারেক আদিম যুগ থেকে প্রকৃতির সাথে আমার বাস । আমি বনে জঙ্গলে, ঝর্ণার ধারে,হিংস্র প্রাণীদের সাথে য

আমি আদিবাসীপাহাড়ি

Image
 আমি আদিবাসী পাহাড়ি পাহাড়ে আমার বাস, আমি খেতে করি খায়, করি জুম চাষ। আমি অবহেলিত আদিবাসী, অবহেলায় কাটে দিন। আমায় করে নির্যাতন প্রতিদিন। আমি বোবা আমি ভাষাহীন, আমি পায়না সুবিচার চারিদিকে হাহাকার আমি বিচার বিহীন। আমি আদিবাসী নারী, চুলোয় জ্বলেনা আগুন পরে থাকে হাড়ি। আমি ধর্ষিত, আমি লাঞ্চিত আমার সাথে করে সবাই বাড়াবাড়ি, আমি আদিবাসী নারী। কত বিচার কত শালিসি করে তবুও আমি অপরাধী, কত স্বপ্ন কত কল্পনা আমিও ঘর বাধি। হয়না কবু স্বপ্ন পূরণ আমি আড়ালে চোখ মুছি, কতজনে কতকিছু বলে আমায় করে ছি ছি। করিনা প্রতিবাদ এভাবেই কাটে দিনরাত। আমি অবহেলায় ঝড়ে যাওয়া একটি ফুল, আমি অযত্নে ভেঙ্গে যাওয়া নদীর কুল। আমায় দেখেনা কেউ, আমি অকেজো নদীর বালির ঢেউ। আমি প্রশ্ন! আমার জিজ্ঞাসা, কবে পাবো তোমাদের ভালবাসা? আমি হারিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঝর্ণা, আমি সেই তোমাদের চিরচেনা। আমি শ্রমিক আমি দিন মজুরী, আমি খেতে খায় করিনা কো চুরি। আমি এক মানুষ করিনা বাহাদুরি, আমি ক্ষুদার্ত খায় চিড়ামুড়ি।

আমি নারী

Image
আমি নারী আমার প্রিয় লাল শাড়ি, আমি নারী রেধে খাওয়ায় ভাত তরকারি। আমি নারী আমি সরকারী আমি নারী, পুরুষে করে আমায় কাড়াকাড়ি। আমি জননী, আমি মাতা! আমি প্রেমিকা, আবার আমিই পতিতা। আমি কৃতিকা,আমিই ধর্ষিতা, আমি আবার আমার চুলে বাধি ফিতা। আমি অর্ধাঙ্গিনী আমিই বালিকা, আমি দূর্বল আবার আমিই পরিচালিকা। আমি নিত্য আমিই নতুন, আমার জন্যই  হয় আবার খুনাখুন। আমি অগ্নি আমি শিখা, আমার জন্যই সবার পৃথিবী দেখা।  আমি জাগি আমি জাগাই, আমি রাগি আবার আমি রাগাই। আমি রাত জাগি, আবার রাত জাগাই, আমি ভাবি আবার আমাকে ভাবাই!  আমি আলো, আমি পথ দেখায়, আমি নারী, বিশ্বাসে সবার হাত ধরি। আমি নারী, করিনা কারো সাথে বাড়াবাড়ি। আমি নারী, সংগ্রাম করতে পারি। কারো সাথে নেই না কো আড়ি।