গারো বুদায়


গারো বুদাই মাঝে মাঝে রাগ হলে আমি এই কথাটি ব্যবহার করি তার কারণও আছে,  ছোট কালে শুনেছি আমার আচ্চুর কাছে বা অনেকেরই কথা বা গল্প বা বাস্তবে ছিলো হয়তো শুনেছেন বা শুনে থাকবেন যে এক গারো পরিবার ছিলো তাদের ধন সম্পদের অভাব ছিলোনা তাদের এক বাঙালি মহাজনের সাথে পরিচয় হয় পরে বন্ধুত্ব। তো একদিন গারো পরিবারের কর্তা বাজারে গেলো বর্ষাকাল তখন ঐ বাঙালি বন্ধু টি তাকে একটা ছাতা দিয়েছিলো পরে ছাতার বদলে ২০কাঠা জমি লিখে দিয়েছিলো। এই হচ্ছে আদিম কালের গারো বুদায় ছাতার বদলে ২০কাঠা জমি দিয়ে দেওয়া।  আরও এমন অনেক বুদায়গীরি গল্প আছে ১পোয়া শুটকির জন্য ২০মন ধান দিয়ে দেওয়া, তামুকের জন্য জমি লিখে দেওয়া।  আর এখন এই যুগের বুদায় গারো রা সেইকালের থেকেও বুদায় তারা হয়তো পড়ালেখা করেনি তাই তাদের এই হাল ছিলো কিন্তু এই যুগের বুদায় রা তো লেখা পড়া জেনেও বা শিক্ষিত হয়েও বুদায় গীরি করে।  আমার নিজেকেই রাগ হয় নিজেকেই বলতে ইচ্ছে করে যে আমি নিজেই বুদায়।  গারোদের মাঝে একতা নেই, প্রতিবাদী নেই, গঠন মূলক কাজে কোন উৎসাহ নেই, ব্যবসায়িক কাজে মন নেই,  সংগঠন কি তারা বুঝেনা, সমবায় কি বুঝেনা, সামাজিকতা কি বুঝেনা। একতা,প্রতিবাদ, গঠন,সংগঠন, ব্যবসা, সমবায়, সামাজিকতা এগুলো যদি বুঝে আয়ত্ত করতে পারতো তাহলে গারো বুদায় আর গারো বুদায় থাকতো না।  মাঝে মাঝে সংঠন মুলক কোন কাজে একত্রিত করতে চাইলে কেউ একত্রিত হতে চাইনা এটা আমার চোখে দেখা বর্তমানে।  প্রতিবাদের কথা বললে কেউ আসতেই চাইনা অথচ তার সামনেই তার স্বজাতি ভাইয়ের সাথে অন্যায় করছে করছে বা করতে দেখছে। গঠন কোন কাজে গেলে একটা গঠন বা কাঠামো লাগে সেই গঠন নেই গারোদের মাঝে নেই। সংগঠন এর কথা শুনলেই গারোরা নাক সিটকে চলে যায় আর বলে সংঠন করে কি হব?? ব্যবসা তো হাতে গুনা কয়েকজন করছে তাও কবে জানি হারিয়ে যায় ঠিক নেই। আগে তো ব্যবসা কি তাও জানতোনা।  সমবায় কেউ করেনা আছে নকমান্দি নামে একটা তাও দূর্নীতিতে ঠাসাঠাসি।  সামাজিকতা বা সমাজ ব্যবস্থা তো একটু ঝগড়া লাগলে ভেঙে যায় এর সাথে ওর লেগেই থাকে।  একটি ছোট্ট গ্রামে চার পাঁচ টা সমাজ যা বড়দিন বা বড় উৎসব হলে দেখা যায়।  তার মানে এই ধারায় এখনো গারোরা বুদায় এর তালিকা থেকে সরে যায়নি। অন্যান্য জাতিতে এগুলো কম দেখতে পারবেন কিন্তু গারো সমাজে এগুলো বেশি চোখে পরে।

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)