মনে পরে ছোট বেলা! বাড্ডা গুপিপাড়া

 মনে আছে নাকি কারো?? , 😁😆😆

৯০দশকে যারা জন্ম নিয়েছি তারা সিডি,ডিভিডি, বিশিআর এর সাথে পরিচিত।

ছোট কালে বাড্ডা গুপিপাড়ায় বড় হয়েছি কারো ঘরে তেমন টেলিভিশন ছিলো না, সাদা কালো টেলিভিশন ছিলো হাতে গুনা কয়েকটা পরিবারে, রঙিন টেলিভিশন দেখতে হতো বাড়িওয়ালাদের বাসায়, তখন ২টা চ্যানেল ছিলো আমার যতদূর মনে পড়ে একুশে টেলিভিশন আর সবার পরিচিত বিটিভি। 

শনিবার আর রবিবার হতো সিনেমা!  একুশে টেলিভিশন এ সকালে হতো আর বিটিভি তে দুপুরে!  

সবাই ঐদুিন অপেক্ষায় থাকতো সিনেমা দেখার জন্য! 

রাতে হতো ধারাবাহিক নাটক পর্ব, নাটকের নাম গুলো মনে নেই! শুক্রবার হতো আলিফ-লায়লা,সিনবাদ,মেঘগাইবার,রেসলিং আরো কি কি প্রোগ্রাম মনে পড়ছেনা!  সবাই বিমুখ হয়ে থাকতো শুক্র,শনি,রবিবার এই তিন দিন এর জন্য! 

পরবর্তী তে শুরু হলো সিডি ভাড়া করে দেখার যুগ,  আমরা ছোটরাও সিডি ভাড়া করে দেখা শুরু করলাম, মা, বাবা অফিসে থাকতো সেই সুযোগে আমরাও বাসায় সিডি এনে দেখতাম!  তো একটা স্মরণীয় ঘটনা ব্লু ফিল্ম দেখার জন্য সবাই বাইনা ধরলো কিন্তু কেউ সাহস করে আনতে পারবেনা ক্যাসেট, আমার উপরে দায়িত্ব পরলো যে আমাকে নিয়ে আসতে হবে,  আমার আবার খুব পরিচিত ছিলো সেই দোকানদার, ছোট বলে আমাকে দিয়ে ফ্লেক্সিলড, ৫০টাকার গ্রামীণ কার্ড আনাতো সেই দোকান থেকে!  সবাই বলতাসে যা তুই যা তোরে ভালা পায় ঐ দোকানদার,পরে আমিও গেলাম সেই দোকানে গিয়ে বললাম বড় ভাই ঐ টা ঐটা নাই আমতা আমতা করে!  বড় ভাই তো বুজতে পারতাসেনা কি বলে ঐটা ঐটা,  আমি আমি সাহস করেই বলে ফেললাম ব্লু ফিল্ম!  পরে আমার দিকে তাকালো মনে মনে বলতাসে মনে হয় শালায় এত ছোট ঐরকম ক্যাসেট দিয়ে কি করবে? তারপরও সে যেহেতু দোকানদার তাই আমাকে দিতে বাধ্য তাই কিছু না বলে দিয়ে দিলো! ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেলো তাও কত বিশ্রী একটা অভিজ্ঞতা! ছোট কালে অনেক রহস্য রহস্য কাজ গুলা করেছি এখন মনে পড়লে হাসি পায়! 

১ বাকি অংশ মনে পড়লে আরো লিখবো!

মনে পরে! বাড্ডা গুপি পাড়া!( ২) 

 😪😪😪

বাড্ডা গুপিপাড়ার অনেক বন্ধু বান্ধব ছিলাম সবাই এখন যে যার মত ব্যস্ত! 

ছোট কালে বাড্ডার বড় ভাইয়েরা ফুটবল খেলা ছাড়লো!  মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট,, ছোট মাঠ পাশেই ঝিল!  বার বার বল চলে যেতো ঝিলে! এখন অবশ্য ঐ ঝিল গুলো নেই মাটি ভরাট করে বাসা বাড়ি নির্মাণ করেছে! আমরা যেখানে খেলতাম ঐ মাঠ গুলো তে এখন বিশাল বিশাল অট্টালিকা উঠছে!  যায় হোক ঐ ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়তো শেষ ছিলো সবার একত্রিত হওয়ার!  পরে আর কেউ সেভাবে একত্রিত হতে পারিনি!  সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত! কেউ হোস্টেলে গিয়েছে কেউ পড়া লেখা নিয়ে!  

সব খেলাতে আমরা জিতেছি ৩-০ গোলে ৪-১ গোলে!  খেলার ফাইনাল অবধি গিয়েছি শেষ মেস বাঙালি স্থানীয়দের কাছে হাড়তে হলো ২-১গোলে! তারা এটা বুদ্ধি করেয় হাড়িয়েছে! আমাদের চ্যাম্পিয়নট্রফি নিতে দেয়নি! গারো বাঙাল কম্পিটিশন!  শুধু ট্রফিটাই পেয়েছি টাকা ছিলো না!  কিন্তু আমরা সবাই মিলে এন্ট্রি ফি দিয়েছি! 

সবাই টিফিনের টাকা জমিয়ে! ট্রফিটা হয়তো আজ আর নেই! তবে থেকে গেলো স্মৃতি! যে যার স্থানে!  সবাই ভালো থাকুক সবাই কে ভালো রাখুক সৃষ্টি কর্তা! 

সবার মঙ্গল কামনা করি!

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)