চু


একটা কথা দিয়ে শুরু করি, মাত্রার বাইরে কোন কিছুই ঠিক নয়। সব কিছুর একটা মাত্রা থাকে দারি,কমা বলে কিছু শব্দ থাকে আমিও তাই মনে করি। চু নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, খা.আ,মেসেঙা,চি.আ, খা.আ চি.আ,মেসেঙচক,চিচক, বিভিন্ন স্বাদের চু আছে। স্বাদের যেমন বিভিন্ন নাম আছে তেমনি এর গুণগত দিকও আছে। যেমন খা.আ চি.আ চু এর সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ,  এই চু খেলে মনে একটা তৃপ্তি আসে, অল্পতেই হয়ে যায়।  মেসেঙা একেবারেই টক যা খেলে তৃপ্তি তো দূর মেসেঙা বললে কেউ আগ্রহ প্রকাশ পর্যন্ত করেনা। খা.আ মেসেঙা হলে একটু চলে বা খাওয়ার যোগ্য। চি.আ একেবারেই মিষ্টি চলে কিন্তু চি.আ সাধারণত মেয়েরা বেশি পছন্দ করে। মেসেঙচক হলে এখানে সবকিছু বিদ্যমান খা.আ,মেসেঙা,চিয়া সব কিছু বিদ্যমান। চিচক হলে চিয়া,আরো টক মিশ্রিত। খা.আ একেবারে টেটো খাওয়া যায় তবে ক্ষনিকের মধ্যে মাথা ধরে বা মাতাল হয়ে যায় আবার অতিদ্রুত সেরে যায়। ডাবলক্কা বলেও একটা স্বাদ একেবারেই চলে না বললে ভুল হবে চলে তবে সকাল বেলা মাথা বেথা করে। বলতে বলতে অনেক গুলো স্বাদ এর কথায় বলে ফেললাম যায় এখন একটু ঘ্রাণ নিয়ে কথা বলবো, খা.আ চিআ এর ঘ্রাণ অনেক মিষ্টি একটা ঘ্রাণ, চিআ তো মিষ্টি মিষ্টির মতই ঘ্রাণ। মেসেঙা হলে টক এর মতোই ঘ্রাণ হয়। মিসেঙচক এখানে সব ঘ্রাণ মিশ্রিত, আবার কোন কোন চু এ আলটা আলটা একটা ঘ্রাণ থাকে যা খাওয়ার জন্য উপযোগী না।  
সব কিছুই তো বলা হলো এখন এর ভালো দিক আর খারাপ দিক বলি,
চু একপ্রকার পানিয়, যা খেলে মাথা ঘুরে,মনের কথা প্রকাশের সাহস বাড়ে, ঔষধ হিসেবেও অনেকে সেবন করে,বাড়িতে মেহমান আসলে আপ্যায়ন করা হয়,সময় কাটানোর জন্য চা বা কফির মত পান করা হয়। চু আদিকাল থেকে গারো সমাজে প্রচলিত আছে এবং থাকবে। এর খারাপ দিক অনেকেই বলে যে চু রিঙজকো গারো রাজা,নক্কদে মেরং দংজা.. কোন কোন ক্ষেত্রে কথাটির মধ্যেও একটা যুক্তি আছে বা মিল পাওয়া যায় বা যেত এখন সেই কথা খাটেনা.. অতিরিক্ত চু খেলে মাথা ঘুরায়,কেউ কেউ বমি করে,তবে অন্যান্য নেশার মতো কোন ক্ষতি হতে দেখিনি। চু খাওয়ার ২থেকে ৩ঘন্টা এর প্রভাব থাকে পরে থাকেনা। 
চলবে......

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)