বিয়ে, জন্মদিন,শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান বনাম অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান..
বিয়ে, জন্মদিন,শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান বনাম
অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান..
অন্যান্য অনুষ্ঠানের চেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে খরচ হয় বেশি আমি মনে করি কেননা তিনদিন ধরে চলে এই অনুষ্ঠান খাওয়া,দাওয়া,নাচ গান আরো বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে চলে বিয়ে বাড়িতে অনুষ্ঠান। সব ফ্রি কেউ নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে এসব অনুষ্ঠানে গান গায়,নাচে,কৌতুক বলে,নাটক করে,কনশার্ট করে। তাহলে বিয়ে বাড়িতে টিকিট সিস্টেম চালু করেনা কেন? এই অনুষ্ঠান করতে কারো কাছ থেকে অনুদান পর্যন্ত নেওয়া হয়না যা অর্থ ব্যয় হয় সব নিজের পকেট থেকে। এখানে কেউ প্রশংসা করে বলেনা বা নিউজ মিডিয়া লোকের যায়না বা প্রকাশ করেনা। অন্যান্য অনুষ্ঠানে টিকেট সিস্টেমের মাধ্যমে ঢুকতে হয় তাও আবার অন্যের অর্থায়নে পরিচালিত হওয়া অনুষ্ঠানে এই বিষয় গুলো হাস্যকর ছাড়া আর কিছুনা। তারপরেও বলে গর্ব করে বলে নিজের পকেটের টাকা। একটা বিয়ে বাড়ির ডেকোরেশন,লাইটিং,কার্ড ছাপানো,যাতায়াত, খাবার, সংস্কৃতি, বিয়ের ঘোষণা দিতে পর্যন্ত গীর্জার লোকেরা টাকা নেই,বিয়ের অনুষ্ঠানে কমপক্ষে হলে ২লাখ টাকার মত বা তারও অধিক টাকা খরচ হয় তাহলে সে তো অনুদান আর টিকেট সিস্টেম চালু করার প্রাপ্য। বিয়েও তো একটা ঐতিহ্য বাহি অনুষ্ঠানের মধ্যে পরে। বিয়ে বাড়িতে অল্প গিফট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে বিয়ে বাড়ির লোকজন। কত আজব বিষয় তাইনা অনুষ্ঠান গুলোতে গিফট নেওয়ার বা সাংসারেক দেবতাদের উদ্দেশ্য করে গিফট নিলে হয়তো টিকিটের থেকেও অনেক লাভবান হবে। যদি সমাজ সেবায় করতে হয় তাহলে সমাজের মানুষের দিকে একটু তাকানো উচিত। লোক দেখানো সমাজ সেবা করে নিজের পকেট ভারি করা থেকে দূরে থাকুন। অহংকার পরিহার করুন একটু বড় বড় নেতাদের সাথে সেলফি তুললেই সেলিব্রিটি হওয়া যায়না, নিজে কষ্ট করুন দেখবেন আপনার সাথে সেলফি নেওয়ার জন্য হাজারও লোক ভীড় জমাবে। ৫টাকা দামের চা খেতে যদি ২০টাকা টিকেট কাটতে হয় তাহলে লাভ কি? তাহলে বিয়ে,শ্রাদ্ধ, জন্মদিন বাড়িতে বা অনুষ্ঠানে টিকেট সিস্টেমের মাধ্যম চালু করুন। তাহলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না হয়ে বানিজ্যিক অনুষ্ঠানের সামিল হবে।
Comments
Post a Comment