সমালোচনা


"মালোচনা " ।
সমাজের ব্যক্তি জীবনে অনেকেই অনেক সময় এই সমালোচনার স্বীকার হয়ে থাকেন। অথবা বলা যায় সামজের অনেক বিষয় বস্ত নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।  আমার বিশ্বাস সমালোচনার   এমনে এমনে  হয় না। নির্দিষ্ট   বিষয় বস্তুতে কমতি আছে বলেই  সমালোচনা হয়।  আমি এইটাও বিশ্বাস রাখি যে, যুক্তি মূলক সমালোচনা আপনার নজর আকর্ষন কারবে।

আমিও ব্যক্তিগত  জীবনে অনেক কারনে যুক্তি মূলক সমালোচনার স্বীকার হয়েছি। তবে সমালোচকদের প্রতি আমার দৃষ্টিভংগি ছিলো ভীন্ন রকম। তাদের সমালোচনার জন্য তাদের আমি সমালোচকের নজরে কোন দিন দেখিনি।সমালোচনার জন্য অভিমান করেনি। কিন্তু হ্যাঁ, অভিমানটা নিজের সাথে করতাম, মানে আমি নিজেকে প্রশ্ন করতাম যে আমি কি ভাবে পারলাম তার জন্য সমালোচনা করবার  সুযোগটি  দিতে?  আর যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছে সে বিষয়টি ভালো ভাবে মুল্যয়ন করতাম।  আমি তাদের দেখেছি আমার ভুল সমাধানের চাবিকাঠি  হিসাবে। কোন দিন তাদের সমালোচনা জন্য রাগ কিংবা অভিমানে, তাদের মুখের উপরে যুক্তি বিহীন জবাব দেই নি। আমি যে বিষয়টির জন্য সমালোচনা হয়েছি সে বিষটি  দ্বিতীয় বার সমালোচনার স্বীকার হওয়ার সুযোগ আমি দেইনি। আমি চেষ্টা করেছি সমালোচনা বিষয়টি আলোচনাই নিয়ে আসতে। কারন আমি বিশ্বাস করি সমালোচকদের যুক্তি বিহীন জবাব মুখে না দিয়ে কাজে দেওয়াতে। সমালোচকদের সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট না করে, সমালোচনার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা, ভাবনা, মূল্যায়ন করাই বুদ্ধি মানের কাজ।
অন্যদিকে সমালোচকদের সমালোচনা যদি গঠনমূলক  না হয় তাহলে সেটি নিয়ে এত মাথা ঘামানোর  দরকার  মনে করি না। সমালোচনা যাচাই-বাছাই করবার ক্ষমতা আমার আছে। বর্তমানে ব্যক্তি জীবনে অবশ্য আমি আলোচনাই এখনও আসিনি কিন্তু সমালোচনার বিষয়টিও নেই বললেই চলে।
সুতরাং পরিশেষে এইটাই যে, আমার কাছে আলোচনা বিষয়টি যতটা গুরুত্বপূর্ণ অন্যদিকে সমালোচকদের  সমালোচনাও ততটাই  গুরুত্বপূর্ণ।
(সংগ্রহ) 

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)