মুক্তমনার কবর/সৎকার

গ্রামের মোছনমানেরা Shahzahan Bachchu স্যারের যানাজা পড়তে এবং দাফন করতে চায়নি।

মানুষটা মৃত্যুর কথা না ভেবে লাড়াই করছে ধর্মের বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে মরতেও হয়েছে আরবের মুহাম্মদের রেখে যাওয়া খুনীবাহিনীর হাতে।

ধর্মের বিরুদ্ধে জীবন দিয়ে লড়াই করা মানুষগুলো মরার পর তাঁর লাশের যানাজা পড়াতে হবে কেন? এই বাল নামাজ না পড়ালে কী হত না? এর আগেও দেখেছি কোন নাস্তিক মারা গেলেই তাঁর পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজন ধর্মীয় রীতিতে মৃতদেহের সমাপন করে। কেন? ধর্ম না মানা মানুষটা কী মৃত্যুপূর্বে বলে যায় নাকি যে তাঁর মৃত্যুর পর প্রথা মেনে ধর্মীয় রীতিতে তাঁর মৃতদেহে সমাপন করতে? যেই মানুষগুলো ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে তাঁদের মৃত্যুর পর মৃতদেহ নিয়ে এই তামাশা করবেন না প্লিজ। এতে ওই মানুষগুলোকে চরম অপমান করা হয়। তাঁরা বেঁচে থাকতে বা বাঁচা জন্য ধর্মের কাছে মাথা নত করে নাই। তাই মৃত্যুর পর প্রথা ধর্মীয় রীতির কাছে নত করাবেন না প্লিজ।

আমি জানুয়ারির ১ তারিখ ঘোষণা দিয়েছি মৃত্যু পর দেহদানের। যদি কোন কারণে সেটি পূরণ না হয় তাইলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে অনুরোধ, দয়াকরে মৃত্যুর পর প্রথা ধর্মীয় রীতি মেনে আমার মৃতদেহের সৎকার করে আমাকে অপমান করবেন না। কোন রকম প্রথা ধর্মীয় রীতি ছাড়াই আমার মৃতদেহেকে পুড়ে বা সমাধি (মাটি চাপা) দিবেন।

Comments

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)