আমার বাবা সবার চোখে ট্রল হলেও আমার কাছে শ্রেষ্ঠ

আমার বাবা 




আমি এমন একটা লোক বললে হয়তো বলবেন অহংকার করে বলছি আমি আগেও অহংকারী ছিলাম না এখনও অহংকার  করিনা শুধু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলতে চাইছি,  অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে আমি মানি আমার চোখে অনেক দেখেছি আচ্ছা বাদ দেয় ঐসব কথা। আমি এমন একটা পরিবারে জন্ম যে দিন আনি দিন খায় মজুরের ঘরে জন্ম, আমার ছোট বোন আছে আদরের, মা আছে বাবা আছে। মাকে অনেক কষ্ট করতে দেখেছি, বাবাকেও দেখেছি কষ্ট করতে।  মা বেশিরভাগ কষ্ট করেছে এখনোও কষ্ট করে যাচ্ছে। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মা হলো আমার মা, সবার কাছে মা সর্বশ্রেষ্ঠ।  বাবা একটু পলিটিক্স করে আমার কাছে অপছন্দ তারপরও ভালো লাগে একটা কারনে বাবাকে একটু অপছন্দ করি টা হলো পলিটিক্স এর জন্য। আমার দেখা আমার বাবা অনেক জনের উপকার করেছে বিনিময়ে গালিগালাজ ছাড়া কিছু পায়নি তারপরও পলিটিক্স করে যার যেমন পছন্দ।  আজ মূলত বাবাকে নিয়ে লেখা অনেককেই দেখি তার বাবাকে নিয়ে গর্ব করে বলে আমি উমুকের ছেলে আমার বাবা উমুক।  তাদের বাবার পাওয়ার খাটানোর ঘটনা অনেক দেখেছি।  আমার বাবা পলিটিক্স করে কয়েকদিন আগে বাবা কে নিয়ে অনেক ট্রল করলো মানুষ আমি শুধু দেখেছি আর মনে মনে কেঁদেছি, কিছু বলতে পারছিলাম না কারণ আমি অন্যদের মত না আমি মনে করে যে যেমন কাজ করছে সে তার প্রাপ্য হিসেব পাচ্ছে।  আমার বাবাও হয়তো তার প্রাপ্য ট্রল পেয়েছে। বাবার ফেসবুকে লেখা নিয়ে ট্রল করে অনেকেই আমার বাবা কয়েকদিন হলো আগ্রহ বশত আইডি খুলেছে ফেসবুকের কিছু জানেনা, সে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ ঠিক মত জানেনা। যায় হোক সে ট্রল করার মত কাজ করেছে বলেই তাকে নিয়ে ট্রল করলো তা নিয়ে আমি এত মাথা ঘামাচ্ছি না। আমার বাবার নাম তুরষ দাংগ হয়তো অনেকেই চিনেন আবার অনেকেই চিনেননা। কয়েকদিন আগে বাবা এওয়ার্ড পেলো তা নিয়ে তার কত কৌতূহল। অনেক খুশি সে, যেদিন প্রথম এওয়ার্ড পেলো সেদিন তার মুখ দেখার ভাগ্য হয়নি আমার আমি শুনেছি ছোট বোনের কাছে ঐদিন নাকি বাবা খুশিতে ঘুমায়নি একটু পর পর ছোট বোন আর মাকে জ্বালিয়েছে একটু এওয়ার্ড দেখিয়ে বার ঘুম থেকে উঠিয়েছে হাহাহা অনেক কষ্টের পর মিললো তাই হয়তো এত আনন্দ ।  পর পর তিনটা এওয়ার্ড পেলো জানিনা কি কারণে দিয়েছে তাকে তার থেকেও অনেক ভালো ভালো লোক আছে যারা এই এওয়ার্ড পাওয়ার যোগ্য তারপরও কেমনে পেলো? আমাকে আজও ভাবাই কথা গুলো এওয়ার্ড গুলো।  তার থেকেও অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক থাকতে সে কেমনে পায়?  তাকে তো কয়েকদিন আগেও দেখেছি তাকে নিয়ে ট্রল করতে! অনেক কথা এখনও অজানা।  বাবা আমাকে কয়েকদিন তার রুমে নিয়ে বললো এওয়ার্ড গুলোর ছবি তুলে তোর ফেসবুকে আপলোড দে। আমি ছবি তুললাম ঠিকই কিন্তু আপলোড দেয়নি।  আমি চাইনা আমাকে নিয়ে কেউ ট্রল করুক।  বানার রিকোয়েস্ট করাতে অন্য আইডিতে দিয়েছিলাম পোষ্ট অনলি মি করে তার জন্য ক্ষমা চাইছি বাবা তোমাকে মিথ্যে বলার জন্য। আমাকে অনেকেই ট্রল করতো বা করবে আমি এরজন্য আজও তোমার পরিচয় দেয়না। আমি আমার পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই। আমি দেবো যেদিন সেদিন হয়তো তুমিও অবাক করার মত কাজ করবে আমিও সবাই কে অবাক করাবো। তুমি শুধু আমার জন্য প্রার্থনা করো। সেইদিন আসবে হয়তো একদিন।  তোমাকে অনেকের উপকার করতে দেখেছি কিন্তু উপকারের বিনিময়ে তুমি পেয়েছো উপহাস,  এর জন্য আমি মাঝে মাঝে তোমার উপর রাগ করি কি প্রয়োজন পলিটিক্স করার?  কি প্রয়োজন মানুষের উপকার করার? থাকনা তারা তাদের মত তারা চলছে চলুকনা?!  তুমি এওয়ার্ড পেয়েছো সেটা অনেকেই বলে এটা নাকি কারসাজি!  টাকা দিয়ে কেনা আর কত কি? হাহাহা এই সমাজে তোমার কোন মূল্য নেই।  আর কত উপহাসের পাত্র হবে?  হয়তো আমার অজান্তে মানুষের অপকার করেছো আমি জানিনা তার পরও আমার চোখে অনেকের উপকার করতে দেখেছি বা দেখিতো এর জন্য গর্ব হয় কিন্তু প্রকাশ করতে পারিনা।  নানান লোকে নানান কথা বলে দেখে। যায় হোক তোমার দীর্ঘ জীবন কামনা করি তুমি আমাদের ছায়া হয়ে থেকো তোমার কাছে এই অনুরোধ করি।  একটা কথা কি বাবা জানো আজও আমি তোমার কথা বলে কারো সাথে অহংকার করিনা।  আমি যেনো এই মনোভাবটা ধরে রাখতে পারি আর যেনো কোনদিন তোমার নাম ভাঙিয়ে কারো কাছে বলতে না হয় সেই প্রার্থনা করো।    

Comments

  1. এই মনোভাব তোমাকে আরো বড় করে তুলবে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আমি নারী

মিতালী

থংক্ষান্থি (অর্ধেক)